Amaroffer.net - ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম ওয়েবসাইট

টাকা রোজকার করতে মানুষকে কত কিছুই না করতে হয়। আপনাকে যদি বলা হয় আপনি প্রতিমাসে ৫০ হাজারের বেশি ইনকাম করবেন ,কিছু একটা কাজ করে। জীবনের যা যা স্বপ্ন আছে গাড়ি বাড়ি সবই পূরণ হবে শুধু একটি কাজ করে। Amar offer.net এ বিস্তারিত দেখুন।

সেই কাজটি যদি হয় বাড়িতে বসে এবং আপনি নিজেই নিজের বস হয়ে যান? আপনি কি চাইবেন না সেই কাজটি করতে?


Amaroffer.net  অনলাইন  ইনকাম সাইট

আজ আমি সেই কাজেরই পুরো ধারণা দেব আপনাদের বোঝার মতো করেই ,যাতে আপনারা খুব সহজে পুরো বিষয়টি বোঝেন।



ব্লগিং !!! Amar offer.com অনলাইন আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। অনলাইন ইনকামে যাদের interest রয়েছে তাদের বেশিরভাগ আজ ব্লগিং করতে চাইছে কিন্তু তারা জানেনা কিভাবে ব্লগার হওয়া যায় ? বা এটাই ভেবে যাচ্ছেন ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন ।


আজকে আমি ব্লগিং নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করবো



ব্লগ কি (what is blog in bengali)


আসলে ব্লগ বলতে বোঝায় ওয়েবসাইট। যদিও ব্লগ ও ওয়েবসাইটের একটু পার্থক্য রয়েছে কিন্তু বোঝার সুবিধার জন্য ব্লগ ও ওয়েবসাইট এক ধরা যেতে পারে। সাধারণত প্রতিটি blog এর একটি টপিক থাকে যাকে ওই ব্লগটির niche ও বলা হয়। যেমনঃ Amaroffer.not



ব্লগার (blogger)কারা ?

আমরা ছোট থেকেই জেনে আসছি ' er ' এর গুরুত্ব। যারা work করে তাদের আমরা বলি worker আবার যারা paint করে তাদের আমরা বলি painter।



সেইভাবেই দেখতে গেলে যে সমস্ত মানুষ blog বা ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগিং করে তাদের blogger বলে।


ব্লগিং কি ?

আপনি যখন গুগলে সার্চ করেন কিভাবে ব্লগার হওয়া যায় তখন গুগলে অনেক রেজাল্ট দেখতে পান যেখানে পরপর ওয়েবসাইট rank অনুযায়ী সাজানো থাকে ।



এখন আপনি যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনার কাঙ্খিত লেখাটি পড়েন যাকে article ও বলা হয়। ওই articleটি একজন ব্লগার লিখে থাকে।



এছাড়া আপনি দেখে থাকবেন ওয়েবসাইটে adও দেখা যায় যেটি google দেয় তার google adsence এর মাধ্যমে।ওই ad দেখানোর মাধ্যমে ব্লগাররা কিছু ইনকাম করে থাকে।



এখন যদি একটু ভেবে দেখেন ,আপনি কিভাবে ব্লগার হওয়া যায় এটি বা যখন অন্য কিছু সার্চ করেন তখন আপনি top 5 website এর ভেতরেই বেশিরভাগ সময় যান



সুতরাং গুগলও তার algorithm দিয়ে অনেক parameter চেক করে সবচেয়ে ভালো ভালো লেখা গুলো প্রথম দিকে rank এ নিয়ে আসে যাতে user satisfied হয়।


ব্লগিং এর জনক কে?

ইভান উইলিয়ামস কে ব্লগিং এর জনক বলা হয়।



কিভাবে ব্লগ তৈরী করব

আপনি যদি এটা ভাবেন যে কিভাবে ব্লগ তৈরী করব তাহলে আপনাকে জানতে হবে ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাই কিভাবে।



ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলি বানানো হয় বিভিন্ন platform এর উপর। যার উপর আপনার ব্লগটি রাখা হয়।যেমন -blogger প্লাটফর্ম, wordpress প্লাটফর্ম, joomla ইত্যাদি।



ফ্রী ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করবেন ? ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য সবচেয়ে ভালো প্লাটফর্ম হলো ব্লগার। যেটি গুগলের প্রোডাক্ট।



ব্লগারে একটি ডোমেইন কিনে যোগ করে ব্লগিং শুরু করলে আপনি ইনকাম শুরু করতে পারবেন। ডোমেইনের দাম পড়বে ১৫০-২০০ টাকা এক বছরের জন্য।


ব্লগিং করতে কি লাগে (requirement)
ব্লগিং করতে আপনার প্রথম লাগবে একটি জিমেল একাউন্ট একটি স্মার্টফোনে সাথে ইন্টারনেট কানেক্শন। এক্ষেত্রে যেকোনো সাধারণ ল্যাপটপ বা কম্পিউটার হলে ভালো হয়। ফ্রি তে ব্লগিং করা গেলেও আমার মতে একটি কাস্টম ডোমেইন কিনে নেওয়া ঠিক হবে। custom domain থাকার অনেক সুবিধা আছে। বেশি থাকা না থাকলেও 100-200 টাকার মধ্যে এক বছরের জন্য যে কোনো ভালো top level domain কিনতে পারবেন।

ব্লগিং করার সুবিধা (blogging advantages)Personal branding - ব্লগিং করার মাধ্যমে আপনি যেমন নিজের ওয়েবসাইটের ভিজিটরের কাছে পৌঁছে যাবে তেমনি আপনার ওয়েবসাইটে র আপনার নিজের একটি পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি হবে।




এখানে branding মানে আপনি যে টপিকের ওপর লিখেন আপনার ভিজিটর সেই টপিকে আপনাকে সেরা ভাববেন এবং গুগলের কোন ধরনের সার্চ যখনই করবেন তখনই আপনার ওয়েবসাইটটিকে প্রেফার করবে বেশি।



সেটি অনেকটা নিচে rank করলেও আপনার ওয়েবসাইটে যাবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়তে থাকবে এবং ওয়েবসাইটটি দ্রুত উপরের দিকে rank করবে Google এ।

Technicality - ব্লগিং করার মাধ্যমে আপনি অনেকটা বেশি টেকনোলজি র সঙ্গে যুক্ত হবেন যার ফলে আপনি টেকনোলজির বিষয়ে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন খুব সহজে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে টেকনোলজির ব্যাপারে জেনে নেওয়াটা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ।
Lifestyle - ব্লগিং করার পরবর্তী ক্ষেত্রে আপনি খুবই ভালো জায়গায় পৌঁছে যাবে। এবং আপনার জীবনযাত্রার মানের অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যাবে। এটা প্রত্যেক সাকসেসফুল ব্লগারের ক্ষেত্রে সব সময় হয়ে থাকে।
Earning for Blogging - ব্লগিং করে আপনি অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন যেটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বা ধরে নিতে পারেন সব ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগবে। এবং নাগিন থেকে যে উপার্জন হয় তা কিন্তু অনেকটাই বেশি অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে। Inspiration - প্রত্যেকটি successful ব্লগার অন্যান্য ব্লগারের কাছে ইনস্পিরেশন হিসেবে কাজ করে। আপনার ক্ষেত্রেও সেইভাবে ইনস্পিরেশন তৈরি হবে এবং আপনার একটি ফ্যানবেজ তৈরি হবে।

Do for others - আপনার ব্লগটি তখনই সফল হবে যখন আপনি আপনার visitor এর জন্য বা ভিজিটরকে সাহায্য করতে পারবেন। এর ফলে বহু ভিজিটর অনেক বেশি উপকৃত হতে থাকবে। Carrier - আপনি যদি জীবনে কিছু না করতে চান তো ব্লগিংকে আপনি কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। বা এটি আপনার backup plan হিসেবে কাজ করবে।


Own Boss - ব্লগিং করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন এবং আপনার বস আপনি নিজেই আপনার যদি একদিন ছুটি নিতে মন চাই আপনি নিজের মত নিতেই পারেন।
ব্লগিংয়ে কিভাবে সফল হবেন ?

প্রায় ৯০% ব্লগার ৩/৪মাস কাজ করেই আর কাজ করেন না। এর ফলে সফল হতে পারে না। এখন ব্লগিংয়ে সফল হওয়ার মন্ত্র কি ? ব্লগিংয়ে সফল হবার উপায় হলো কেন অসফল হচ্ছেন তার কারণ গুলো খুঁজে দেখা।

wrong niche selection -হ্যাঁ এটি ব্লগিং-এ ও সফল হবার মূল কারণ তারা ইনকামের চক্করে পড়ে বা কারোর কথা শুনে এমন এভুল নিউজ টপিক সিলেকশন করে ফেলে যেটিতে তারা কাজ করতে পারে না বা কিছুদিন কাজ করে এবং অসফল হয়ে ছেড়ে দেয়। continuity- অসফল হওয়ার আরো একটি কারণ হলো continuity বজায় না রাখা। অনেকেই কিছুদিন কাজ করে আর কাজ করেন না।



বাংলায় ব্লগিং শুরু করবো না ইংরেজিতে ?

আপনার পছন্দ যেখানে বেশি সেই ভাষায় করুন। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো লিখতে পারেন আমি ইংরেজিতেই লিখতে বলবো কারণ এতে অনেক বেশি লোকের কাছে পৌঁছাবে এবং cpc অর্থাৎ অ্যাড এর টাকার পরিমান ভালো পাওয়া যায়।



তুলনামূলক ভাবে বাংলা ব্লগের আয় ও ট্রাফিক কম থাকে। কিন্তু বাংলা ব্লগ থেকেও যায় করা যায় সঠিক ভাবে করলে।


ব্লগ করে কিভাবে আয় করা যায় (ways to earn from blogging)


ব্লগ থেকে আয় করা যায় অনেক গুলো পদ্ধতিতে -


Google Adsence -আপনার ব্লগ গুগল অ্যাডসেন্স এর সাথে যুক্ত করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে পারেন।

Affilaiate Marketting - আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে affiliate মার্কেটিং করে বা কমিশন ভিত্তিক উপার্জন করতে পারেন আপনার ব্লগের ক্যাটাগরী অনুযায়ী।

Sponshor Post -আপনি আপনার ব্লগে স্পনসর পোস্ট করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন

Backlink Selling -আপনি আপনার ব্লগে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া থেকেও ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ?


ব্লগিং করে কত টাকা যায় করা যায় এটি জানতে গেলে একটি হিসেবে করা যাক যেটি কিন্তু পুরো accurate না হলেও আসে পাশে হয়।



ধরুন , আপনার website এ ডেইলি ৩০০০ ট্রাফিক আসছে। এখন বাংলা ব্লগে সিপিসি গড় ০.০৫ হয়ে থাকে ,সুতরাং আপনার যদি প্রথম শুরু করা অবস্থায় যদি ২৫ জন ভিসিট করলে একটি ক্লিক হয় তাতে প্রতিদিন আপনার ক্লিক হবে ৩০০০/২৫=১২০ টার মত মতম দাঁড়াবে ৩৬০০*০.০৫ =১৮০ ডলার বা ১৮০ * ৭৩ =১৩১৪০ টাকার মতো।



কিন্তু আপনি ঠিক ভাবে কাজ করলে আপনার ট্রাফিক বাড়বে ও আপনি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ইংলিশ ব্লগের ক্ষেত্রে এই পরিমান ট্রাফিকে আপনি এর প্রায় কয়েক গুন্ বেশি ডলার পাবেন।



কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন (How to Start Blogging)







1 . কোন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করা উচিৎ ?
এটি ব্লগিং শুরুর প্রথম ধাপ কোন বিষয়ের উপর ব্লগিং করবেন ? কোন বিষয়ে ব্লগিং করবেন এটা ঠিক করা গুরুত্ব পূর্ণ কাজ

কারণ এর উপর নির্ভর করবে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার সফল হবে নাকি অসফল। বহু ব্লগার এই জায়গায় ভুল করে ফেলে। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে বহু নিচ রয়েছে,যেমন -Health
News
Make Money Online
Gadget Review
Education
Cryptocurrency


ব্লগিং এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা নিচ এর আবার micro niche বা সাব নিচ রয়েছে। যেমন - Education এর সাব নিচ্ কোনো সাবজেক্ট যেমন life science হতে পারে বা physics।


ব্লগিং টপিক (blogging niche )

ব্লগিং এর নিচ বা টপিক ঠিক করতে গেলে আপনাকে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।



a. Knowledge
b. Low competition-High Search
c. Interest
Knowledge আপনি যে নিচ নিয়ে কাজ করবেন সেখানেআপনার কতটা জ্ঞান আছে সেটা প্রথম ভাবা জরুরি। কারণ- আপনার জ্ঞান না থাকলে আপনি খুব বেশী আর্টিকেল লিখতে পারবেন না এবং আপনার ভিসিটরের query solve করতেও সমস্যা হবে।

Low competition-High Search -আপনার niche টি কতটা profitable বা লাভযোগ্য সেটা আপনাকে জানতে হবে।
Low competition-আপনার niche টি এমন হবে যেখানে আপনার competitorখুবই কম থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগটি খুব তাড়াতাড়ি রাঙ্ক করতে শুরু করবে।

High Search -আপনি ধরুন এমন একটি বিষয় নিয়ে শুরু করলেন কেউ গুগলে সার্চ এ করে না সেক্ষেত্রে আপনি ভিসিটর পাবেন না আর ইনকাম ও হবেনা কারণ সেইভাবে অ্যাড ক্লিক ও হবেনা।

Interest -এই বিষয়টা অত্যন্ত জরুরি।যে বিষয় নিয়ে লিখছেন সে বিষয়ে interest থাকাটা কারণ ইন্টারেস্ট না থাকলে আপনি হয়তো জোর করে কয়েকদিন কাজ করবেন দিয়ে ছেড়ে দেবেন।

উদাহরণ হিসেবে আমরা যদি ধরি Harsh Agarwal ,Amit Agarwal এদেরকে indian blogging industries এর অন্যতম ব্লগার হিসেবে ধরা হয়। তাদের ইন্টারেস্ট যদি bloging ,affiliate marketting এসব বিষয়ে না থাকতো আজ তারা সফল হতে পারতো না।


তাহলে নিচ কিভাবে বাছবেন (how to select niche)
প্রথমে আপনি যে বিষয় ভালোবাসেন বা আপনার ভালো জ্ঞান আছে এগুলো কোনো এক জায়গায় লিখুন। সেই বিষয়ে কত লোক গুগলে সার্চ করছে একটু বের করতে চেষ্টা করুন এর জন্য free keyword research tool- ubersuggest ,google keyword planner ব্যবহার করতে পারেন।






সুতরাং যে বিষয় আপনি ভালোবাসেন ও যেখানে আপনার ভিসিটর ও ভালো আসবে সেটি আপনার পারফেক্ট নিচ।


2. Website Domain সিলেকশন

ডোমেইন কি

প্ৰত্যেকটি ওয়েবসাইটের শেষে। dot (.)এর পর যে phrase টি থাকে তাকে ডোমেইন বলে। যেমন - .com, .net , in, info, online , org এগুলো প্রত্যেকটাই এক একটি ডোমেইন। যেমন -এই ওয়েবসাইটের www amaroffer.net এর ডোমেইন হলো net .


ওয়েবসাইট নাম

আপনার ওয়েবসাইটএর ডোমেইন তো জানলেন এবার ওয়েবসাইটের একটা নাম দেওয়ার দরকার আছে।



যেমন ধরুন -এই সাইটটির একটি নাম দেওয়া হয়েছে BanglaTe । সেরকমই প্রত্যেক ওয়েবসাইটের নাম আছে যেমন facebook, webmusic, lyricsmint, shoudmeloud, hindime, bloggingcage এগুলো প্রত্যেকটা একএকটা ওয়েবসাইটের নাম।



ওয়েবসাইটের নাম অনুযায়ী ডোমেইন যেকোনো হতে পারে ধরুন amaroffer তার ডোমেইন .com এর জায়গায় .not করে দিলে ওয়েবসাইট হয়ে যাবে amaroffer.not।



এবার আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন কিভাবে ভাবে কিনবেন ?



আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালো নাম ও ডোমেইন কিভাবে বাছবেন(domain shortlisting)


Short Domain Name-আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম শর্ট ও specific হওয়ার প্ৰয়োজন কারণ শর্ট হলে মনে রাখার সুবিধা আর টাইপ করতেও সমস্যা কম হয়। ওয়েবসাইট নাম -ওয়েবসাইট নাম ঠিক করতে হলে আপনার ওয়েবসাইটের টপিকের সঠিক কীওয়ার্ড বাছুন সেটি যেন শর্ট ও specific হয়।

যেমন -ধরুন webmusic বা lyricsmint এইসব ওয়েবসাইট গুলোতে তাদের টপিকের কীওয়ার্ড রয়েছে যেমন music বা lyrics এরকম আপনিও keyword based name বেছে নিন। Top Level Domain - চেষ্টা করুন সবসময় টপ লেভেল ডোমেইন বেছে নিতে কারণ এই সব ডোমেইন গুলো খুব ভালো হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি র্যাংক করে গুগল সার্চে। Number In Domain -চেষ্টা করুন আপনার ওয়েবসাইটে 1,2,4 এরকম নাম্বার যুক্ত না করতে তাতে অনেক সমস্যা থাকে এবং ইউসার এর মনে রাখতে,সার্চ করতে সমস্যা হয়ে থাকে।




আপনাকে প্রথমে আপনার যে nicheসেই নিচের related ডোমেইন নিতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট খুব ভালোভাবে rank করে।


ডোমেইন selling ওয়েবসাইট (top domain selling site)
Godaddy india
Bigrock
Namecheap


ডোমেইন কিভাবে কিনবেন (how to buy domain)

ডোমেইন কেনার বেস্ট উপায় হলো -ডোমেইন কিনতে প্রথমে আপনার select করা ডোমেন সহ ওয়েবসাইট নামটি চয়েস করুন
godaddy বা bigrock ওয়েবসাইটে গিয়ে সার্চ করুন domain নাম available রয়েছে কিনা
আপনার ওয়েবসাইট সহ ডোমেইনটি যদি বুক করা না থাকে তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে domain price তুলনা করুন এনং renewal price দেখুন।
সবচেয়ে কম যেখানে পাচ্ছেন ভালো ওয়েবসাইটে domain টি রেজিস্ট্রেশন করুন।



3. ভালো ব্লগিং প্লাটফর্ম

ব্লগিং প্লাটফর্ম বলতে বোঝায় যে সাইটে আপনি ব্লগিং করবেন। মানে যেখানে লিখলে বা কাজ করলে আপনার ওয়েবসাইটে লেখাটি দেখা যাবে। বা ধরে নিন যে সাইটের উপর আপনার ওয়েবসাইটটি থাকবে।



best blogging platform বলতে এখন দুটিকেই বোঝায় ব্লগার আর ওয়ার্ডপ্রেস। এর যেকোনো একটি বাছতে হবে আপনাকে।


ব্লগার - ব্লগার হলো গুগল এর একটি প্রোডাক্ট যেখানে ফ্রি ব্লগ বা ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়

ফ্রি তে বানালে একটি subdomain blogspot মাঝে যুক্ত হয়ে যায়।

যেমন - ওয়েবসাইটের নাম হবে 'www.websitename.blogspot.com' । ব্লগারের কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে

ব্লগারের সুবিধা(advantages of blogger)এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ব্লগস্পট সাবডোমেইন দিয়েও এডসেন্স পাওয়া যায়।
এটি আপনার সাইট হ্যাক হবার সম্ভবনা নেই বললেই চলে
এতে আপনাকে হোস্টিং কিনতে হয়না গুগল নিজেই হোস্ট করে।
আপনি ফ্রি থেকে না চাইলে custom domain যোগ করতে পারেন
আপনার সাইটে ভিসিটর হটাৎ বেড়ে গেলেও আপনার সাইট ডাউন হবেনা

ব্লগারের অসুবিধা(disadvantages of blogger)ব্লগারের সবচেয়ে বড় অসুবিধা এতে ফিচারস অনেক কম থাকে
SEO করতেও খুব সমস্যা হয়
আপনি সাইটটিকে ইচ্ছেমতো design করতে পারবেন না
আপনাকে Html ,Css এসব বেসিক জানা প্রয়োজন
ওয়ার্ডপ্রেস -WordPress.org বা ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি CMS সফটওয়্যার অর্থাৎ content management system যেখানে আপনি আপনার কনটেন্ট কে খুব সহজে ম্যানেজ করতে পারবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা (advantages of wordpress)
ওয়ার্ডপ্রেস ফিচারস খুবই বেশি আছে মতো design করতে পারবেন আপনার সাইটকে
ওয়ার্ডপ্রেসে থিম থেকে শুরু করে বেশির ভাগ জিনিস এক ক্লিকেই হয়ে যায়
ওয়ার্ডপ্রেসে Html ,css জানার কোনো দরকার পড়েনা কারণ সব ক্ষেত্রেই plugin পাওয়া যাই যেগুলো দিয়ে খুব সহজে আপনার কাজ হয়ে যাই
seo করার ক্ষেত্রে yeost seo , rank math এই দুটি plugin খুবই ভালো কাজ করে ,সুতরাং seo অনেক সহজ হয়ে যায়।


ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধা (diadvantages of wordpress)
ওয়ার্ডপ্রেস পুরোটাই paid service সুতরাং আপনাকে হোস্টিং, ডোমেইন কিনতে হবে
ভালো হোস্টিং যেমন cloudways বা bluehost বা digitalocean না হলে আপনার সাইট রাঙ্ক করতে অনেক সমস্যা
আপনার সাইট হ্যাক হবার অনেক সম্ভবনা থেকে যাই
আপনার সাইট এ হটাৎ বেশি ভিসিটর চলে এলে site down হয়ে যাবে হোস্টিং এর কারণে।
তাহলে ব্লগার vs ওয়ার্ডপ্রেস কোনটি ভালো ?আপনি প্রথম শুরু করলে আর যদি ব্লগিংয়ে সিরিয়াস না হন ব্লগারে শুরু করুন।

আর আপনার টাকার সমস্যা না থাকলে ওয়ার্ডপ্রেস এ যেতে পারেন। কিন্তু আপনার সাইট কিন্তু ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস যেখানেই থাকুক গুগলে সমান ভাবে rank করবে।


4. Hosting for Wordpress -

হোস্টিং কি - হোস্টিং হলো আপনার সাইটের যে ফাইল বা কোড বা আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রাখা থাকে তাকে হোস্টিং বলে। বোঝার সুবিধার জন্য এটিকে আপনি সার্ভার বা অনলাইন স্টোরেজ ভেবে নিতে পারেন।



ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য হোস্টিং এর দরকার নয়তো কি হবে ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধা গুলিতে আপনারা দেখতে পেলেন



ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য ভালো হোস্টিং প্রয়োজন তার আরো একটি কারণ রয়েছে আপনার সাইট দ্রুত লোড হবেনা ও তার ফলে ভিসিটর ব্যাক করে যাবে আপনার সাইট থেকে।



তখন গুগল বুঝে যাবে আপনার সাইটটি ভালো নয় ও rank ও করবেনা সাইটটি । সুতরাং ভালো ওয়েব হোস্টিং দরকার আছে।



ক্লাউড হোস্টিং -ওয়ার্ডপ্রেস এর cloud hosting গুলি খুবই ভালো হয়ে থাকে।এগুলো যেমন আপনার সাইট দ্রুত লোড হতে সাহায্য করে সেরকম এগুলোতে খুব তাড়াতাড়ি বেশি ভিসিটর আসলে আপনার সাইটটি ডাউন হবার chance ও কম।


কিছু ভালো web hosting company হল
Cloudways
Bluehost
Digitalocean
Siteground



5. Well optimized theme for bloging

ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস এর উপর যেকোনো ওয়েবসাইট কেমন দেখতে হবে তা থিমের উপর নির্ভর করে। ব্লগিংয়ের জন্য সেরা থিম নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ -User Experience - থিম যদি ভালো না হয় user experience ভালো হবেনা ফলে ইউসার আপনার সাইটে থাকতে সাচ্ছন্দ বোধ করবেনা

SEO - search engine optimization এর ক্ষেত্রেও থিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভালো থিম না হলে SEO তে প্রভাব পড়ে। Site Speed -আপনার সাইটের স্পিড অনেকটাই নির্ভর করে আপনার থিমের উপর। থিম ভালো না হলে সাইটে লোডিংয়ে প্রভাব পড়বে। Responsive -যে থিম গুলো আপনি ব্যবহার করছেন সেগুলো যদি রেস্পন্সিভ না হয় মোবাইল বা পিসিতে ঠিক ভাবে খুলবেই না।



ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস উভয় জায়গাতেই ফ্রি থিম আছে যেগুলো ব্যবহার করা যায় কিন্তু ব্লগারের ফ্রি থিম একদমই প্রফেশনাল নয় এর জন্য আপনি গুগল থেকে নিয়ে অন্য থিম লাগাতে পারেন।



ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রি থিম গুলো খুবই ভালো হয় কিন্তু কিছু features সেখানে থাকেনা । আপনি চাইলে পেইড থিম ব্যবহার করতে পারেন।



NOTE- WordPress এর Null Theme অর্থাৎ premium থিম ফ্রি তে যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে লাগাবেন না , আপনার site hack হওয়ার chance খুবই বেশি থাকে।




ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু ভালো নাম করা থিম রয়েছে যেগুলো হলো -GeneratePress- generate press একটি well optimized এবং fast loading থিম। pingdom ওয়েবসাইটে test করে দেখা গেছে GeneratePress 1.05 second লোডিং স্পিড আছেএবং পুরো থিমটির size 30kb র কম
Astra - ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে popular একটি থিম হলো astra theme। Astra র ফ্রি থিম আপনি ব্যবহার করতে পারেন তবে astra pro একটি premium থিম যেখানে আপনি থিম কিনে নিজের মতো customize করতে পারবেন। লোডিং স্পিড নিয়ে বলতে গেল এটিকে fastest WordPress theme বলা হয় astra কে।


Genesis - Genesis হলো studio press এর একটি open source framework থিম। যেটিতে আপনি পাবেন theme,header customizer। এটি আগের গুলোর মতোই mobile responsive theme


6. Loading Speed কন্ট্রোল -

আপনার সাইটের লোডিং স্পিড খুবই ম্যাটার করে কারণ যদি এক সেকেণ্ড লোডিং স্পিড বেশি হয় আপনার সাইট থেকে প্রচুর ভিসিটর ব্যাক করে যাবে।


loading speed maintain করতে এগুলো করতে পারেন -আর্টিকেলএ যে ছবিগুলো ব্যবহার করবেন সেগুলো সাইজও কমিয়ে নিন JPEG compressor বা PNG compressor দিয়ে। সাইট থেকে JavaScript এর অপ্রয়োজনীয় কোডিং গুলো সরিয়ে ফেলুন যদি পারেন Light weight ,well optimized এবং mobile responsive থিম ব্যবহার করুন। ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য ভালো cloud web hosting প্ল্যান নিন ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু plugin আছে যেগুলো ইউসার এর ব্রাউজারে cache request পাঠায় যাতে খুব তাড়াতড়ি লোড হতে পারে সেগুলো চাইলে ব্যবহার করতে পারেন আপনার সাইটে। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে খুব বেশি plugin ব্যবহার করাটা ক্ষতিকর।
7. Article Writing for blogging-

কোথায় বলা হয় Content is King আপনার সাইটে এত কিছু করার পরও যদি কনটেন্ট না থাকে সব মাটি হয়ে যাবে।



ব্লগের ক্ষেত্রে আর্টিকেলই শেষ কথা। প্রত্যেক ওয়েবসাইটে ভিসিটর আসে সেই বিষয়ে জানতে।



আপনি যদি আপনার ভিসিটর কে ঠিকঠাক তথ্য না দেন সে আপনার সাইটে আর কখনো আসবেনা এবং তার মন থেকে আপনার সাইটটি হারিয়ে যাবে।


ব্লগ লেখার নিয়ম(how to write blog article)Neat & Clean - আপনার লেখাটি হওয়া neat & clean প্রয়োজন। ধরুন আপনি কোথাও ইমেজ দিচ্ছেন কোথাও লিখছেন কোথাও font change হয়ে যাচ্ছে এগুলো করলে আপনার আর্টিকেল কখনোই ভালো হবেনা ।

In depth article - আপনার আর্টিকেলটি সর্বদা ডেপ্ হবে কারণ ইউসার আপনার কাছে কিছু জানতে এসেছে তাকে সঠিক তথ্য জানানো খুবই দরকারি। আপনি সব তথ্য দিয়ে লিখলে আপনার আর্টিকেলটি ইন ডেপ্ট আর্টিকেল হবে।


Unique content - প্রত্যেকের নিজস্ব unique স্টাইল রয়েছে আর্টিকেল লেখার আপনি আপনার unique স্টাইল দিয়ে আর্টিকেল লিখতে না পারলে সেগুলো পড়তে ভালো লাগবেনা।


Sufficient image and table - আপনার আর্টিকেল information দিতে আপনি relatable image ,info graphics, video যোগ করতে পারেন। কিন্তু সেটি যেন কখনো অন্য বিষয়ের ছবি না হয়।

User Intent - আপনার ইউসার আপনার থেকে কি চাইছে আপনাকে জানতে হবে কারণ user intent পুরো না হলে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারবেন না।এবং ইউসার ও আর্টিকেলটি পড়ে কিছু জানতে পারবেনা সেইভাবে। Easy language - আর্টিকেল লেখার জন্য ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে লিখতে হবে খুবই simple languageএ যাতে সবাই বুঝতে পারে আপনার লেখাটি।

Proper use of Header tag - আপনাকে h1, h2, h3, h4, title এই সবগুলিকে সঠিক জায়গায় use করতে হবে নয়তো user বুঝতে পারবেনা আপনি exact কি লিখতে বা বলতে চেয়েছেন।
8. আর্টিকেলের সঠিক ভাবে seo করা

SEO কি - আপনার website গুগল সার্চে নিয়ে আস্তে গেলে আপনার article টিকে google algorithm অনুযায়ী সেট করা খুব প্রয়োজন এটিকেই ব্লগিংয়ের ভাষায় SEO বা search engine optimization বলা হয়।



সঠিক SEO techniques ব্যবহার করে google search থেকে প্রচুর organic traffic পাওয়া যায়।




SEO প্রধানত দু ধরণের -


On Page SEO -
অন পেজ এসইও হলো আর্টিকলে যখন আপনি সেও করে অর্থাৎ সঠিক title,description,headingএবং সঠিক ভাবে কীওয়ার্ড ব্যাবহার করেন


Off Page SEO -
অফ পেজ এসইও হলো আপনার আর্টিকেল লিংক social share করা ,backlink বানানো ,web 2.0 submission করা।


ব্লগিংয়ে কম্পেটিশন থাকে সুতরাং আপনার সাইটটিকে rank এ আনতে আপনাকে SEO করা শিখতে হবে।


9. Google Search Console submission করা

আপনার আর্টিকেলটি গুগল সার্চে দেখানোর জন্য আপনার website টিকে Google Search Console বা google webmaster tool এ submit করতে হবে সাথে আপনার article টিও সার্চ কনসোল এ জমা দিতে হবে লেখা পাবলিশ করার পর।



এছাড়া আপনার সাইটের একটি sitemap সার্চ কনসোল এ জমা দিতে হয় সেটি হয় sitemap.xml ফরম্যাটে।



10. Adsence থেকে টাকা আয়

রেগুলার আর্টিকেল লিখলে ব্লগে ট্রাফিক আসতে থাকবে গুগল থেকে। আপনি আপনার website টি adsense এর জন্য monitize করতে পারবেন এবং Adsence থেকে টাকা আয় করতে পারবেন




এছাড়া আপনি আপনার ব্লগ থেকে affiliate marketing,অন্যের link promote , product review করে ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।



সবশেষে , আমার অফার ডট নেট আসা করছি ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে সব তথ্য পেয়েছেন।



ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এত কিছু করতে হয় যদি ভাবেন তাহলে বলবো এসব কিছু খুবই সহজ। আপনি যদি ধারণা পেয়ে যান সব কিছু সহজ হয়ে যাবে।



ব্লগিং করে আপনি ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন কিন্তু আপনাকে smart পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে। ধন্যবাদ। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url